আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম। তিনি বলেছেন, “ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে গেলেও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ বুঝে ষড়যন্ত্রের হোতা কে? অবিলম্বে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রিপোর্টাস ইউনিটিতে জিয়া শিশু কিশোর মেলার আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুস সালাম বলেন, “গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যেভাবে দেশের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন-অত্যাচার ও হত্যা-গুম-খুন চালিয়েছে, তার অবসান ঘটেছে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে। দেশের মাটিতে এ রকম স্বৈরাচারের আর কোনো স্থান নাই। আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এই সাবেক আহ্বায়ক বলেন, “মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলেও আওয়ামী লীগ সরকার নিশ্চুপ ছিল। অথচ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে অনেক শিশুকে হত্যা করেছে। এতদিনে যত গুম-খুন হয়েছে, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। শেখ হাসিনার নামে যে ক্যান্টনমেন্ট করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।”
আব্দুস সালাম বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রতিবেশী দেশের কাছে বাংলাদেশকে গোলাম বানিয়েছে। পুলিশকে পৃথিবীর নিকৃষ্ট বাহিনীতে পরিণত করেছে। পুলিশের মৃত্যুর জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।”
ভারতের উদ্দেশে সালাম বলেন, “প্রভু হবেন না, বাংলাদেশের বন্ধু হতে ভারতের আহ্বান জানাই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করবে। গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে। ভারতের কাছে আহ্বান, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাইলে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।”
আব্দুস সালাম আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের কোনো কলঙ্ক যেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গায়ে না লাগে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করব। বিএনপি চায়, এই বিপ্লবের সফল পরিণতি। বিএনপি আওয়ামী লীগের পথে হাঁটতে চায় না, ক্ষমতায় গেলে কোনো দুর্নীতি-চাঁদাবাজি চলবে না।”