• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১, ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সরলেন সাখাওয়াত, স্বরাষ্ট্রের নতুন দায়িত্বে জাহাঙ্গীর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
সরলেন সাখাওয়াত, স্বরাষ্ট্রের নতুন দায়িত্বে জাহাঙ্গীর
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ও লে. জে (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।

‘আওয়ামী লীগ’ নিয়ে নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তবে দাবি উঠেছিল তাকে মন্ত্রণালয় থেকে সরানোর। শেষ অবধি সেটাই হলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে সরিয়ে তাকে দেওয়া হয়েছে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গভবনে উপদেষ্টা পরিষদে নতুন করে যুক্ত হওয়া চারজনের শপথ অনুষ্ঠানের পরই দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়। তাতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক লে. জে (অব.) জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

জাহাঙ্গীর আলম ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বঙ্গ সেনা জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) প্রধান ছিলেন।

তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ছিলেন ও একই সময়ে তাকে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৬ সালে তাকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বলার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। এ ঘটনার মাধ্যমে ২০০৮ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত আনসার সদস্যদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গিয়ে সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আওয়ামী লীগকে দল পুনর্গঠনের আহ্বান জানান।

তিনি সদ্য ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা আপনাদের পার্টি রিঅর্গানাইজ করেন। এই পার্টির অনেক অবদান আছে বাংলাদেশে। এটা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। ইলেকশন আসলে ইলেকশন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।” 

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, অ্যান্ড আই হ্যাভ লট অব রেসপেক্ট ফর আওয়ামী লীগ। এক সময় আমাদের মতো বাঙালিদের তাদের ভরসার জায়গা ছিল এই পার্টি (আওয়ামী লীগ)।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরদিন ১৩ আগস্ট পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “অনেক কথার মধ্যে অনেক কথা চলে আসে। যদি আমি এমন কোনো কথা বলে থাকি, সেটা ভুল বুঝেছেন, সেটার জন্য আমি দুঃখিত।”

Link copied!