রাজধানীসহ সারা দেশেই উদযাপিত হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। কোরবানি শেষে গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে মাংস বিলিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তবে সেই মাংস সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেগুলো বিক্রি করছেন অনেকে। এসব মাংসের ক্রেতার সংখ্যাও কম নয়।
সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পুরান ঢাকার বাবুবাজার, লালবাগ ও বংশালসহসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বিকেলে কারওয়ান মোড়ে দেখা যায়, অনেকেই মেলার মতো কোরবানির মাংসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে একপ্রকার মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। মনে হবে এ যেন নিয়মিত মাংসের কোনো বাজার।
কারওয়ান বাজারে কোরবানির মাংস বিক্রি করা জয়নাল বলেন, “শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে পশুর মাংস, মাথা, পা, হাড় সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। কম দামে পাওয়ায় নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ এখান থেকে মাংস কিনছে।”
আরেক বিক্রেতা জাকের আলী বলেন, “বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস কিনতে গেলে দাম নেয় ৮০০-৯০০ টাকা। সংগ্রহ করা এসব মাংস মাত্র ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করছি। মাংসের পাশাপাশি ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভুঁড়ি।“
নোমান নামের এক ক্রেতা বলেন, “কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। বাজারেও মাংসের দাম চড়া। তাই ঈদের দিন মাংস খাওয়ার আশায় রাস্তার পাশ থেকে মাংস কিনেছি।“
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ক্রেতা বলেন, “প্রতিবছরই কোরবানির সময় রাস্তার ধারে মাংস বিক্রি হয়। এখানে কম দামে মাংস পাওয়া যায়। যা দিয়ে পরিবারের সবাই একবেলা পেট ভরে গরুর মাংস খেতে পারি।”
জমিলা বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “স্বল্প আয়ের বেতনে অন্যের বাসায় কাজ করি। তারা ঈদে গ্রামে গেছে। তাই এবার কোরবানির মাংস পাইনি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে মাংস খেতে রাস্তার পাশ থেকে মাংস কিনছি। কম দামে বেশ ভালো মাংস পাওয়া যাচ্ছে।”