রাজধানীর মিরপুরে প্যারিস রোডের মাঠে গরু কোরবানি দিলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে দেওয়া হবে প্রণোদনা। ঢাকাবাসীর মধ্যে যারা তাদের পশু নিয়ে এসে কোরবানি করবেন তাদেরই দেওয়া হবে এক হাজার টাকা। এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শুধু তাই নয়, পশু কোরবানির কাজ আরও সহজ করতে প্রস্তুত রাখা হয় ৩০০ সেচ্ছাসেবী। কোরবানির পর মাংস বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়। এমনকি কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে রাখা হয় গলা ভেজানোর সুযোগও।
তবে এত সুযোগ সুবিধা ঘোষণা দেওয়ার পরও সাড়া মেলেনি নগরবাসীর। তারা বরং পশু কোরবানির জন্য রাস্তাকেই বেছে নিয়েছেন। নিজ বাসার অলিগলি কিংবা মূল সড়কের ওপরেই কোরবানির পশু জবাই দিয়েছেন অনেকে। আবার সড়কেই চামড়া আলাদা করেছেন কসাইরা। এতে পশুর বর্জ্যে অপরিচ্ছন্ন হয়েছে সড়ক।
ডিএনসিসির সূত্রমতে, ঈদের দিনে কোরবানির ৬০০ পশুর জন্য নির্ধারিত সেই স্থানে দুপুর পর্যন্ত আসে মাত্র ৫০টি গরু। যারা পশু নিয়ে এসেছেন তারা সবাই নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। বলছেন, খুবই সুন্দর করে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া যে গরম পড়েছে তার মধ্যে লেবুর সরবতেরও ব্যবস্থা থাকায় আরও ভালো লেগেছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, মেয়রের আহ্বান, প্রণোদনার ঘোষণা আর নানাবিধ সুবিধা দেওয়ার পরেও উত্তর সিটির অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে চিরচেনা দৃশ্য। নিজ নিজ বাসা বাড়ির সামনে রাস্তার ওপরেই কোরবানির পশু জবাই করেছেন ঢাকাবাসী। রাস্তাতেই পশুর শরীর থেকে চামড়া আলাদা করেছেন। এতে এলাকার রাস্তাগুলো অপরিচ্ছন্ন হয়।
সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মী জানালেন, কিছু লোক ধূলাবালির কারণে ফিরে গেছেন। যা একটা অভিজ্ঞতা। আগামী ঈদের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, পরিবেশ সুরক্ষার জন্য রাজধানীর নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির ধারণা প্রথম ২০১৫ সালে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় দুই সিটি করপোরেশন। তবে বার বারই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকে দুই সংস্থা। এবারও ভালো ফলাফল মেলেনি। এত বছর ধরেই এমন ভালো পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পেছনে দুই সংস্থার সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছে ঢাকাবাসী।