ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রুমা আক্তার নামের এক গৃহিণী। তবে জন্মের পরপরই একজন মারা গেছে। বাকি চারজনকে হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ঢামেকের ২১২ নম্বর গাইনী ওয়ার্ডে নরমালভাবেই পাঁচ নবজাতক প্রসব করেন ওই নারী।
রুমা আক্তারের বোন আয়েশা আক্তার মুক্তা বলেন, “আমাদের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার দাসাদি গ্রামে। আমার বোনের স্বামী মো. শহিদুল্লাহ সৌদি আরব থাকেন। আট বছর বিয়ে হলেও কোনো সন্তান হচ্ছিল না। অনেক জায়গায় চিকিৎসা করার পর বাচ্চা কনসেপ্ট করে। তবে তিন মাসের মাথায় পরীক্ষা করে জানা যায় রুমার পেটে চার সন্তান রয়েছে। ভোরে ব্যথা অনুভব হওয়ায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। পরে সকালে ঢাকা মেডিকেলে নরমালভাবেই পাঁচ বাচ্চা প্রসব করে।”
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাজমা হক।
নাজমা হক বলেন, “সোমবার ভোরে চাঁদপুর থেকে রুমা আক্তার (২৬) নামে ওই নারী হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি হন। দুপুর ১টার মধ্যে তিনি একে একে পাঁচটি নবজাতক প্রসব করেন। এর মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে। তবে একটি মেয়ে নবজাতক মৃত অবস্থায় প্রসব হয়।”
নাজমা হক আরও বলেন, “আমার কাছে নরমালে এক সঙ্গে পাঁচ বাচ্চার প্রসব ঘটনা এই প্রথম। বাচ্চারা পরিপক্ক হয়নি ও ওজন কম থাকায় দ্রুত চার সন্তানকে নবজাতক আইসিইউতে পাঠানো হয়। তবে এদের চারজনেরই ঝুঁকি রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় ও চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় বাচ্চারা সুস্থ হয়ে উঠবে। বাচ্চার মা বর্তমানে অবজারভেশনে আছেন।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, “হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এক নারী পাঁচটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এদের এর মধ্যে একজন মারা গেছে। বাকি চার নবজাতককে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”