দুই দিন বিরতি দিয়ে রবি ও সোমবার ফের ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ কর্মসূচির আগের দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বিরতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের একদফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এ ঘোষণা দেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতি ও দুর্যোগ দুর্বিপাকের মধ্যে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। আর সরকার প্রতিনিয়ত ধাপ্পাবাজি করছে জনগণের সঙ্গে। সরকারপ্রধান বলেছেন, ‘নির্বাচনে আসুন কার কত দৌড় আমরা দেখি’। নির্বাচনে দৌড়াবেন তো আপনি, আপনার মনের মতো করে তৈরি করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে আপনি দৌড়াবেন। জনগণ তো প্রতিযোগিতার জন্য দৌড়াতে পারবে না। কারণ জনগণকে আপনি বন্দি করে রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ বন্দি জীবন যাপন করছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কারাগারে দিয়েছেন। আমাদের দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে ঢুকিয়েছেন। মাঠ খালি করে একা দৌড়ানোর জন্য আপনি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আন্ডারগ্রাউন্ড দল নই। আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি সব অন্যায়ের। আর এই অপরাধেই আপনি গ্রেপ্তার করছেন ।
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের পর ২৯ অক্টোবর হরতাল দেয় বিএনপি-জামায়াত। এরপর ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফা, ১৫ ও ১৭ নভেম্বর পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়।