এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’
নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: সংবাদ প্রকাশ

এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩.৬ এবং ১১.২ অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। আর সে জন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় রাজধানীর ধানমিন্ডতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা আরো বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল প্ল্যানের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রোডক্র্যাশে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রতিরোধযোগ্য রোডক্র্যাশ, মৃত্যু ও আহত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে। এজন্য দরকার উপযুক্ত শক্তিশালী নীতি ও আইনি কাঠামো। বর্তমানে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ ও ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২’ বলবৎ থাকলেও সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার শুভ্র দেবের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি এন্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর আবু রুশদ মো. রুহুল আমিন ও একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি শাহনাজ শারমিন।

এসময় সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ এবং সড়ক নিরাপত্তা আইনের দুর্বলদিক সমূহের উপর আলোচনা করেন গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি এন্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান তাইফুর রহমান। এসময় তিনি বলেন-সেইফ সিস্টেমের আলোকে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন। কারণ দেশে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। যে আইন নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ যানবাহন এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন নিরাপদ সড়ক সকলের মৌলিক অধিকার। আর সেই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে রোডক্র্যাশে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমাতে এবং সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘের সুপারিশকৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।

Link copied!