রাজধানীর বাজারে কমছে না সবজি ও ডিমের দাম। সপ্তাহে ব্যবধানে প্রকারভেদে সবজির দামে প্রতি কেজিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ২০ টাকা। আর ডিমের হালিতে বেড়েছে ৫ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা কারসাজি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহলে বেগুন প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টমেটো ৮০, পটল ৬০ থেকে ১২০, কাঁচা মরিচ ১৮০, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০, শসা ৭০ থেকে ৮০, বরবটি ৮০ থেকে ১০০, করলা ৭৮ থেকে ৮০ এবং ধুন্দল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়।
একই দিন বাজারে মুরগির লাল ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ৫০ ও ডজন ১৪৫ টাকা। পাশাপাশি মুরগির সাদা ডিম প্রতি হালি ৪৫ ও ডজন ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৯০ ও ডজন ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এর আগে একই বাজারে বেগুন প্রতি কেজির দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। টমেটো ৪০, পটল ৪০ থেকে ১০০, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০, শসা ৫০ থেকে ৬০, বরবটি ৬০, করলা ৭৫ এবং ধুন্দল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকার মধ্যে।
অপরদিকে মুরগির লাল ডিমের হালি ছিল ৪৫ টাকা ও ডজন ১৪০ টাকা। পাশাপাশি মুরগির সাদা ডিম প্রতি হালি ৪০ ও ডজন ১৩৫ এবং হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ ও ডজন ১৮০ টাকায়।
হীরা নামের এক ক্রেতা বলেন, “বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। আমরা ক্রেতা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি আর মুখ বুঝে সব মেনে নিচ্ছি। তদারকি করার মতো কেউ নেই। বাজার দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। যদি না হয় তাহলে খেটে খাওয়া মানুষের বিপদ।”
আজিম হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। সব জিনিসের দাম বাড়তি। সবজির দাম দুই মাস আগেই কম ছিল। এখন সব জিনিসে ১০-২০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। বেতন তো আর বাড়ে না।”
দেলোয়ার নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, “ক্রেতাদের অভিযোগ থাকেই। কাঁচা বাজার ওঠানামা করে। আমরা কম দামে পাইলে কম দামে বিক্রি করি। বেশি দামে পাইলে বেশি দামে। আমরা দুই-চার টাকা লাভের জন্যই তো বসছি। বাজারে এখন চাহিদার তুলনায় সবজি কম আসছে, তাই দাম একটু বাড়তি।”
ওয়াসিম নামের আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, “রোদ-বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। আমাদের কাছে ক্রেতা তো অভিযোগ করে। বড় ব্যবসায়ীদের ওখানে কিছু বলে না। ওখানে ধরলে বোঝা যাবে দাম কে বাড়ায়।”