প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি বলেছেন, “আপনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে অনুসরণ করছি। আপনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা।”
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ মে) কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে তাদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সুনাককে উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এসব কথা জানান।
সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, “যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী তার (শেখ হাসিনা) বড় ভক্ত। তিনি গত অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার মেয়েরা শেখ হাসিনার মতো মহান নেতা হবেন, এই কামনা করেছেন।”
সুনাক বলেন, “আপনি আমার দুই মেয়ের জন্য মহান অনুপ্রেরণা।”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, ভূমিহীন ও গৃহহীন বাংলাদেশের জনগণকে সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তার গৌরবময় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে ছয় শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার কথা উল্লেখ করে সুনাক বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য।” তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
৩৫ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে দুই নেতা উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের চমৎকার সম্পক বিদ্যমান উল্লেখ করে সুনাক বলেন, “যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয়।”
বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ঋষি সুনাককে অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনা বলেন, “এশীয় ঐতিহ্য থেকে আপনি এত অল্প বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এমন তরুণ নেতৃত্ব দেখে আমার ভালো লাগছে।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার ইতোমধ্যে সাত লাখ পরিবারকে বাড়ি দিয়েছে।’ শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর কাছে আরও বড় বিনিয়োগ চেয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নত করেছি।’ তিনি ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে একটি যৌথ ইস্তেহার সই করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই নেতা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেন।
সুনাক বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন। সুনাক বলেন, “যুক্তরাজ্য বুঝতে পেরেছে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা।”