• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাঠাও-উবারে আয় কমেছে রিকশাচালকদের


বিজন কুমার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
পাঠাও-উবারে আয় কমেছে রিকশাচালকদের
রাজধানীর সোনার গাঁ হোটেলের সামনের রাস্তায় যাত্রীর অপেক্ষায় রিকশা চালকেরা। ছবি-সংবাদ প্রকাশ

“রাস্তায় মোটরসাইকেল হইছে। মাথার উপর দিয়ে ট্রেন চলে। তাড়াতাড়ি (দ্রুত) যাইতে চাইলে পাঠাও আর সিএনজিতে চইল্লা (চলে) যায়। হের লাইগা রিকশাওয়ালার আর আগের মতো ইনকাম (আয়) হয় না।”

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার পান্থকুঞ্জ এলাকায় আলাপের একপর্যায়ে কথাগুলো বলেন ইসমাইল হোসেন নামের এক রিকশাচালক। তিনি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী এলাকার বাসিন্দা। সকাল ৮টায় বেরিয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আয় করেছেন মাত্র ৩২০ টাকা। একই সময়ে আগে তার আয় হতো ৫০০ টাকার বেশি।

ব্যস্ত এই শহরে দিনের প্রতিটি প্রহরেই গন্তব্যে ছুটে চলে মানুষ। যানজটের নাকাল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে, দূর পথের যাত্রায় এখন কেউ বেছে নেয় পাঠাও/উবার (মোটরসাইকেল/কার) কিংবা সিএনজি। আর কম দূরত্বের পথে অনেকেই হেঁটে যান। এ কারণেই আয় কমেছে রিকশাচালকদের। রিকশাচালক ইসমাইলের কথায় তাই বোঝা গেল। শুধু ইসমাইল হোসেন নন, অন্য সব রিকশাচালকের কথাগুলোও একই রকম।

ইসমাইল হোসেন কয়েক বছর আগে আয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। পরিবার সম্পর্কে কথা হলে তিনি বলেন, “দেশে (ঈশ্বরদী) অনেক বেশি গাড়ি। ইনকাম হয় কম। পরে ঢাকা চইল্লা আইছি। আগে বউ পোলা লইয়া থাকতাম। এখন দেশে রাখছি। যা ইনকাম হয়, ওই টাকা দিয়ে থাকা যায় না। দিন গেলে এখন ২০০-৩০০ টাকা থাহে (থাকে)।”

মো. আমিনুল ইসলাম নামের এক রিকশাচালক বলেন, “আগের মতো কই আর ইনকাম হয়? এখন মানুষ সিএনজি, মোটরসাইকেলে চলে যায়। ভিআইপি রোডে উঠতে দেয় না। রিকশায় যেতে হলে ধীরে ধীরে যেতে হবে। রাস্তায় অনেক গাড়ি হওয়াতে, জাম (জ্যাম) লাগে। সেখানেও সময় লাগে। তাই রিকশায় মানুষ যেতে চায় কম। তবে আল্লাহর রহমতে খেয়ে চলছি, এই আরকি।”

কুদ্দুস নামের এক চালক বলেন, “সকাল ৯টায় বের হয়ে রাতের সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালাই। বুড়া মানুষদের ইনকাম বেশি হয় না। যাদের কম বয়স তাদের ইনকাম একটু বেশি হয়। রিকশার জমা দিতে হয় ১৩০ টাকা। খাওয়াদাওয়াসহ সব খরচ মিটায়া বাড়িতে টাকা পাঠাই। এভাবেই চলছি।” 
 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!