শ্রমিক অসন্তোষ কমাতে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যেটা শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, সেটিও করা হচ্ছে বলে জানান শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “আগের মতো উদ্বোধন করে ছবি তুলে আমরা দায়সারা কাজ করব না। আমরা শ্রমিকদের দেওয়া সুযোগ সুবিধা প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ে রেখেছি।’
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “শ্রমিকদের বকেয়া সরকার দিতে গেলে দেশের রাজস্ব খালি হয়ে যাবে।”
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ বলেন, “শ্রমিকদের যারা বেতন দিচ্ছে না সেসব মালিককে ধরে এনে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট আটকে রাখা হচ্ছে। যাতে বিদেশ পালিয়ে না যায়। অনেক কারখানা বার বার কমিটমেন্ট দিয়েও তা পূরণ করেনি।”
“আমরা আগের মতো শ্রমিক মেরে সমস্যা সমাধান নয়, বেতন পরিশোধের জন্য মালিকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিক সমাধান একটি জটিল বিষয়” যোগ করেন শ্রম উপদেষ্টা।
খুব নাজেহাল অবস্থায় শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন আসিফ। বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে গেছি। ১৮ দফা নিয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ যৌথভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।”
আগের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সভায় বাংলাদেশকে অপদস্থ হতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এবারের আইএলওর তাছে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ইতিবাচক এবং প্রশংসনীয়। আইএলওর করা মামলা তুলে নেয়ার বিষয়ে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।”
২০১৪ সালে দেশের কারখানার কাজের গতি তিন গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা। বলেন, “আগামী ১০ বছরে আমরা আরও তিন গুণ পোশাক কারখানার ব্যাপ্তি বাড়াব।”