• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩০, ১৩ শা'বান ১৪৪৬

প্রতিশোধের কোনো স্থান থাকা উচিত নয় : প্রধান উপদেষ্টা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
প্রতিশোধের কোনো স্থান থাকা উচিত নয় : প্রধান উপদেষ্টা
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : পিআইডি

প্রতিশোধের কোনো স্থান থাকা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “আমরা সবাই এ দেশের সন্তান। সংস্কারের বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে সই করবে।”

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা সমাজে পুনর্মিলনের আহ্বান জানান এবং প্রতিশোধের চক্র ভাঙার ও দেশে শান্তি-সম্প্রীতির ক্ষেত্র তৈরির কথা বলেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডির কাজ স্থগিতে মার্কিন সিদ্ধান্তের পরিণতি নিয়ে আলোচনা করেন।

ড. ইউনূস ও জ্যাকবসন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার অ্যাজেন্ডা, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং এর পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার বিষয়ে তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জ্যাকবসন জোর দিয়ে বলেন, “নতুন সরকারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া উচিত।”

সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী যে অপারেশন ডেভিলস হান্ট শুরু করেছে, সেই সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জ্যাকবসন।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের অভিযানকালে যেকোনো মূল্যে মানবাধিকার সমুন্নত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশ্বের অন্যতম স্বনামধন্য স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবির জীবন রক্ষাকারী প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহায়তা স্থগিতের মার্কিন সিদ্ধান্তের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. ইউনূস। তিনি বাংলাদেশ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের হাইতির মতো দেশে ডায়রিয়া ও কলেরায় মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আইসিডিডিআরবির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

ড. ইউনূস বলেন, “ইউএসএআইডির সঙ্গে যাই ঘটুক না কেন, পুনর্গঠন, সংস্কার ও পুনর্গঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন। এটা বন্ধ করার সময় নয়।”

Link copied!