ঢাকার দুই সিটিতে চলছে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ। দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মোট ৩৬টি ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করেছে দুই সিটি কর্পোরেশন।
এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৮টি ওয়ার্ড এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সরেজমিনে দেখছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, উত্তর সিটির ৫৫ ভাগ এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ২৮টি ওয়ার্ড থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ডিএসসিসির কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮টি ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে।
এদিকে ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি জানিয়েছে, দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রায় ১৯ হাজার কর্মী কাজ করছেন। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কার্যক্রমে সহায়তার জন্য শুক্রবারের মধ্যে পশু কোরবানির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দুই মেয়র।
এর আগে সকালে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঢাকা সিটির সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন দুই সিটির মেয়র।
কোরবানির বর্জ্য ও সাধারণ বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ৩৫৭টি বিভিন্ন ধরনের যান-যন্ত্রপাতি (পে-লোডার- ১০টি, বেকহো-লোডার- ৪টি, স্কিড লোডার-১টি, টায়ার ডোজার-৭টি, চেইন ডোজার- ৩টি, ড্রাম্প ট্রাক-৯৬ টি, কম্পেক্টর- ৫৩টি, পানিবাহী গাড়ি ৯টি ইত্যাদি) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত হাতগাড়ি, বেলচা, কাটা ও টুকরিসহ অন্য প্রয়োজনীয় মালামাল ওয়ার্ড পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা (রাজউক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর) থেকে সৌজন্যমূলক ২৪টি ভারি যন্ত্রপাতি বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত থাকবে।
উত্তর সিটিতে কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাটগুলো দ্রুত পরিষ্কারের লক্ষ্যে ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরবর্তী দুদিন নিরবচ্ছিন্নভাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য বর্জ্যবাহী ড্রাম্প ট্রাক/খোলা ট্রাক, ভারি যান-যন্ত্রপাতি, পানির গাড়ি, বেসরকারি এবং ভাড়ায় পিকআপভ্যানসহ সর্বমোট ৬১৫টি গাড়ি নিয়োজিত রয়েছে।
ল্যান্ডফিলে ঈদুল আজহার বর্জ্য পরিবেশসম্মত ডিসপোজাল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ৬টি এস্কেভেটর, ৪টি চেইন ডোজার, ২টি ট্যায়ার ডোজার ও ১টি পে-লোডার নিয়োজিত রাখা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্যানগাড়িতে করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।