সরকার পরিবর্তনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, নতুন সরকারের প্রতি আস্থার কারণে সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে প্রবাসী আয়। এদিকে দেশের খোলাবাজারেও ডলারের দাম কমেছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, নগদ ডলার কিনে রাখার প্রবণতা কমার পাশাপাশি অর্থ পাচার কমলে, সুফল মিলবে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে।
ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স বর্জনের ডাক দেন। এতে গত মাসের শেষ ১১ দিনে মাত্র ৩৮ কোটি ডলার আসে। কিন্তু সরকার পতনের পর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের পালে জোর হাওয়া লাগে। আগস্টের প্রথম তিন দিনে এসেছিল সাড়ে ৯ কোটি ডলার। পরের ৭ দিনে এসেছে প্রায় ৩৯ কোটি ডলার।
কাতারে অবস্থানরত এক প্রবাসী বলেন, “আমরা একটা নির্দিষ্ট কারণে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন থেকে আমরা নিয়মিত বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাব।”
এদিকে দেশের খোলাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দাম কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ১১৯-১২১ টাকার মধ্যে।
ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে ডলার কিনতে এসে দেখা যায় টাকার বিপরীতে এক ডলারের দাম ১২৬ টাকা। তবে এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকায়।
গত জুলাই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা দেশে পাঠান ১৯১ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ কোটি ডলার কম।