দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকে দেশে বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে, যা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২২ মে) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির আবহাওয়াবিদ এবং আবহাওয়াসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও বলছে, লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। এবার যদি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়, তবে এর নাম হবে ‘রেমাল’।
লঘুচাপের ঘোষণা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বুধবার (২২ মে) ঘোষণা করা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আজ (বুধবার) এ ঘোষণা দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, লঘুচাপটি আজ বা আগামীকাল সকালের মধ্যেই সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। আগামী শুক্র বা শনিবার এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা কতটুকু, প্রশ্নের জবাবে বজলুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। তবে এখনো তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
এর আগে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টের (ইসিএমডব্লিউএফ) এক ঘোষণায় বলা হয়, বুধবার বা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবনের কাছে ২৬ থেকে ২৭ মে আঘাত হারতে পারে। তবে ঘোষণায় এ কথাও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃতি সব সময় ঠিক থাকে না। এর গতিপথ এবং গতি পরিবর্তিত হতে পারে।
আর এবার যদি ঘূর্ণিঝড় হয়, তবে এর নাম হবে রেমাল। এই নাম ওমানের দেওয়া।