কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর বৃষ্টিতে রাজধানীতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভ্যাপসা গরমে নগরবাসী ছিলেন অতিষ্ঠ। তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এলো স্বস্তি।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই ছিল উজ্জ্বল সূর্যকিরণ। এতে গরমে হাঁসফাঁস করেছিলেন সাধারণ মানুষ। তবে বেলা আড়াইটার দিকে নেমেছে বৃষ্টি, যা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও চলছে।
দুপুরে বেলায় হঠাৎ বৃষ্টি নামায় স্বস্তি নেমে এলেও ঘরমুখী মানুষদের ভোগান্তিতেও পড়তে হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিতে দেখা গেছে ফ্লাইওভার, ওভারব্রিজের মতো স্থাপনার নিচে।
সোমবার আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৬ মিলিমিটার। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারা দেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে। এছাড়া মঙ্গলবারের (৬ সেপ্টেম্বর) পর থেকে আবারও তাপপ্রবাহ কিছুটা বাড়তে পারে।
মো. বজলুর রশিদ বলেন, “রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণের আভাস রয়েছে। এর ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।”
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।