ঢাকার আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারে রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রতিটি থানা ও অন্যান্য ইউনিটকে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিষটি নিশ্চিত করে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে।”
এর আগে রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় আদালতে আনার পর পুলিশের চোখমুখে গ্যাস স্প্রে করে পালিয়ে যান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য।
পালিয়ে যাওয়া দুই আসামি হলেন আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীম।
ডিবির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় ভবনের গেটের সামনে থেকে দুই পুলিশ সদস্যের চোখে স্প্রে করে আসামিরা পালিয়ে যান।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির গণমাধ্যমকে বলেন, “রোববার এই দুই আসামির বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলায় চার্জগঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার কার্যক্রম শেষে আসামিদের আদালত থেকে নিচে নেওয়া হয়। এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের গেটের সামনে থেকে তারা পালিয়ে যায়।”
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন দীপন।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) মামলার রায়ে আসামিদের সবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।