পরিবেশের ওপর প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেছেন, “রিসাইকেলের মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদনে শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সারা বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি নতুন নতুন পণ্য সামগ্রী বাজারে আসছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের এই শিল্পের যথেষ্ট সুনাম সৃষ্টি হয়েছে।”
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিপিজিএমইএ এবং ইয়র্কারস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসেস কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মো. মনসুরুল আলম এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাংলাদেশের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হুসনা ফেরদৌস সুমি।
অর্থনীতিতে প্লাস্টিক শিল্প বিরাট অবদান রাখছে উল্লেখ করে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, “বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে নতুন নতুন উন্নতমানের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত দেশ গঠনের অভিলক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ আমাদের লক্ষ্য।”
চার দিনব্যাপী ১৬তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলায় দেশের প্লাস্টিক খাতের যন্ত্রপাতি, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী দেশি-বিদেশি ৬৫৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ২০টি দেশের ৬০০ কোম্পানির ৮০০ স্টল এবং দেশীয় ৫৪টি কোম্পানির ১৬১টি স্টল রয়েছে। মেলা ২৪-২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।