সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পেতে ‘প্রতীকী ফাঁসি’ কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই কর্মসূচি পালন হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, ‘প্রতীকী ফাঁসি’ কর্মসূচিতে ছয়জন আন্দোলনকারী অংশ নেন। যদি তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে তারা প্রতীকী নয়, প্রকৃত ফাঁসির মাধ্যমে আত্মাহুতি দেবেন। প্রায় এক ঘণ্টা তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে র্যালি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান তারা।
আসাদুজ্জামান নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, “টানা ২৪তম দিনের মতো আন্দোলন করছি আমরা। আজকের প্রতীকী ফাঁসি কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে, দাবি মানা না হলে এটি আর প্রতীকী কর্মসূচি থাকবে না। ফাঁসির মাধ্যমে আত্মাহুতি দেব আমরা।”
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।
নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন রিট করলে ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফলাফল ও নিয়োগপত্র প্রদান-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট চূড়ান্ত ফলাফল ও নির্বাচিতদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।