বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্ব রাজনীতিতিতে স্নায়ু যুদ্ধ চলছিল। ফলে বিশ্ব দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়। সে কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে ছিল এবং তাদের অস্ত্র সরবরাহ করে। আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়। তার প্রভাবেই বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার স্বীকৃতি এতদিনে আদায় করা যায়নি।
রোববার (২১ মে) ঢাকায় গণহত্যার স্বীকৃতিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল।
এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে প্রজন্ম ৭১, আমরা একাত্তর ও ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ)।
গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে আর কত সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে হ্যারি বলেন, “আর্মেনিয়ান গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে একশ বছর লাগলেও বাংলাদেশি গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে অত সময় লাগবে না। আশা করি কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা এটি পেতে চাই।”
ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, আমস্টারডামের ভ্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অ্যান্থনি হলসল্যাগ, যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরামের (ইবিএফ) সভাপতি বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, ইবিএফের সহ-সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরমা দত্ত বলেন, “আমি নিজেও একজন শহীদ সন্তান। আমরা মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য ধাপে ধাপে একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। আমরা জাতিসংঘ থেকে খুব দ্রুতই এ গণহত্যার স্বীকৃতি প্রত্যাশা করি। যারা এ গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করছেন ও বাংলাদেশ সফর করছেন তাদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধা পরিবার কৃতজ্ঞ।”
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “১৯৭১ সালের প্রতিটি ঘটনাই গণহত্যার। যা দেশে-বিদেশে দৃষ্টি আকর্ষণ প্রয়োজন। বাংলাদেশি গণহত্যা নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট ও ইউএস কংগ্রেসে আলোচনা হয়েছে। যা গুরুত্বপূর্ণ।”
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ সন্তান ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।