মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “বর্তমানে দুটো পক্ষ লক্ষ করা যায়। তা হলো, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার। রোকেয়া হলের মেয়েদের মুখে ‘রাজাকার’ স্লোগান, দুঃখ লাগে। তারা কী শিক্ষা পেল। তারা কি জানে, ২৫ মার্চ কী হয়েছিল। এসব তারা দেখেনি। তাই তারা রাজাকার পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে।”
সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যারা নিজেদের ‘রাজাকার’ বলতে লজ্জা পায় না, তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে? তারা কী শিক্ষা পেয়েছে?”
সরকার দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে চায় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে পুরস্কৃত হবেন। সব মন্ত্রণালয়ে নিচের দিকেও অনিয়ম দুর্নীতি হয়। সেটি নজরদারিতে রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে যে অর্থ ব্যয় হয়, তার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের কাজগুলোতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি হলে সরকারের ওপর চাপানোর চেষ্টা হয়। দুর্নীতি করে খুব কম সংখ্যক মানুষ। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। অনেকে মনে করেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সরকারের গায়ে লাগে। কিন্তু দুর্নীতি যেই করুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “পত্রপত্রিকায় কী লিখল, তা দেখে কাজ করবেন না, ঘাবড়ে যাবেন না। বিবেক ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যাবেন। তবে খোঁজ নেবেন অভিযোগটি সত্য কি না। মাটি-মানুষের রাজনীতি করেই আজকের অবস্থানে এসেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলো বছরের পর বছর টানবে না সরকার, সেগুলো নিষ্পত্তিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”