আওয়ামী লীগ যেন জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে জোট না করে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা।
মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “দলের আড়াই থেকে তিন`শ নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন না দিয়ে অপমান করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে যেন জোট না হয় সে অনুরোধ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি দলীয় পরিষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
মসিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে জিএম কাদেরের কর্মকাণ্ডে আমাদের সমর্থন নেই। তিনি জোর করে জাতীয় পার্টি দখল করেছেন। তাই জাতীয় পার্টির সঙ্গে যেন কোনো জোট না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন রওশন এরশাদ।”
এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণভবনে যান জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ এমপি, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা এমপি, রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ও মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও রওশন এরশাদ নির্বাচনে না যাওয়ার কথা সাফ জানিয়ে দেন।
নভেম্বর মাসে ২৮৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি। এবার জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দুটি আসন ঢাকা–১৭ এবং রংপুর–৩ থেকে দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এরশাদের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে রংপুর–৩ আসনে হওয়া উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তার ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ। ধারণা করা হয়েছিল, এবারও তিনি এই আসনে মনোনয়ন পাবেন।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের জন্য ময়মনসিংহ-৪ আসন খালি রাখা হয়। কিন্তু পছন্দের আসনে মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচন করতে অস্বীকৃতি জানান রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।