• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রণির চলার সঙ্গী এখন কাক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
রণির চলার সঙ্গী এখন কাক
রণি ইসলামের কাঁধে বসে আছে কাক। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে বাস থেকে নামলেন এক ব্যক্তি। তার দিকে চোখ ফেরাতেই দেখা গেল এক অবাক করা দৃশ্য। তার কাঁধে বসে আছে একটি কাক।

পাখি পোষার ক্ষেত্রে যেখানে সবার পছন্দ টিয়া, ময়না, কবুতর। ঠিক সেই স্থলে কাক কীভাবে মানুষের পোষার প্রাণী হয়? এমন অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।

আলাপচারিতায় জানা যায়, কাক পোষা এই মানুষটির নাম রণি ইসলাম। তিনি কারওয়ান বাজারে ভ্যান চালিয়ে নিজের সংসার চালান। কাজের সুবাদে তিনি প্রতিদিনই আসেন নগরীর কারওয়ান বাজারে। এসময় কাকটিও আসে তার সঙ্গে।

রণি ইসলামের কাঁধে বসে আছে কাক। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রণি ইসলাম জানান, পশু-পাখির প্রতি ভালোবাসার কারণে তার পরিবার তাকে বিপরীত চোখে দেখে। গত এক সপ্তাহ আগে প্রাকৃতিক ঝড়ে কাকের বাসা থেকে একটি কাকের বাচ্চা মাটিতে পড়ে যায়। পরে সেই বাচ্চাটিকে খেলতে শুরু করে কয়েকজন শিশু। এসময় তাদের কাছে থেকে কাকটিকে এনে পোষা শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে সেই কাক তার সঙ্গেই আছে। যতদিন না কাক নিজে থেকেই উড়ে যাবে, ততদিন পর্যন্ত কাককে রণি ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন রণি ইসলাম।  

রণি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমি এই প্রাণীকে কাক বলি না। তাকে আমি প্রকাশ বলে ডাকি। আমার কাককে ভয় লাগে না। একটা কথা হলো, একটি প্রাণী তখনই মানুষের ক্ষতি করে, যখন মানুষ তার ক্ষতি করে। আমি সব ধরনের পশু ভালোবাসি। তাই আমার পরিবারও আমাকে বিরত রাখতে চায়।  কাকের থেকে আমাকে বেশি টানে সাপ।”

রণি আরও বলেন, “আমি কাককে কখনোই খারাপ প্রতীক মনে করি না। কাক যদি না থাকত, তবে আমাদের প্রকৃতি আরও নোংরা হতো।”

Link copied!