রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) থেকে এ বৃষ্টি শরু হয়। এরপর রাতে কমলেও সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে তা ফের শুরু হয়। তবে, বৃষ্টির সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস ছিল। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এই বৃষ্টি হচ্ছে। যা আরও ২-৩ দিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের পায়রা বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যা দেশের উপকূলের দিকেই ধেয়ে আসছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল মান্নান বলেন, “রংপুর বিভাগ ছাড়া সোমবার সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টি থাকবে আরও ২-৩ দিন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মোংলা পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।”
আবহাওয়ার তথ্যমতে, সোমবার মধ্যরাতের পরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, বরিশাল ও ভোলায় অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখভাগের প্রভাব, অমাবস্যা এবং বায়ুচাপের পার্থক্যের কারণে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব অনেকাংশে বেশি হতে পারে। ফলে উপকূলীয় এলাকায় ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট প্লাবিত হয়েছে। সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিপৎসংকেত জারির পর চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। এছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ।