পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি বর্তমানে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এটি ঘনীভূত হতে পারে। ঘনীভূত হলে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। এতে করে উপকূলসহ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টিপাত বাড়বে। সেই সঙ্গে দেশের নদ-নদীতেও পানি বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, “সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটি নিম্নচাপ অবস্থাতেই থাকবে। ঝড়ে রূপান্তরিত হবে না।”
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সোমবারের মধ্যে এটি বাংলাদেশের অতিক্রম করবে। ওইসময়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হতে পারে। সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। এ ছাড়া উজানেও (ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম) বৃষ্টিপাত থাকবে।
তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবারের পরে বৃষ্টিপাত বাড়ার কথা বলেছে। আগামী দুই দিন ছোট নদীগুলো বা আকস্মিক বন্যা হয় উজান থেকে এমন নদীতে পানি স্থিতি অবস্থায় আছে। বড় নদী যমুনা-ব্রহ্মপুত্র-গঙ্গাতে আগামী ১০দিনের পূর্বাভাস বলছে পানি বিপদ সীমার নিচে থাকবে।
এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের কিছু নদীতে পানি বেড়েছে, তবে তা বিপদ সীমার নিচে আছে। কাল শনিবার আবার আকস্মিক বন্য সৃষ্টিকারী নদীগুলোর পানির তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে। আগামী দুই দিন বন্যার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এই সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আগামী রোববার দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। আর সোমবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস বলছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এ ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নদীসমূহের স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।