বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প গ্রহণে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর রেল ভবনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রেল অপারেশন ও সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “রেলের লোকোমোটিভ ও কোচের সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত কোচ ও ইঞ্জিন সংগ্রহের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ইতঃপূর্বে ২০০ কোচ সংগ্রহের যে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে তা দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানাকে এসেম্বলিং (সংযোজন) ও মেরামত কারখানায় রূপান্তর করতে হবে। এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে। এসব প্রকল্প গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করতে হবে। ক্রয়ধর্মী প্রকল্পের মেয়াদ এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহার করতে হবে। ভবিষ্যতে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে না।”
ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে অনলাইন টিকিটিং সেবা প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কমকে আরও আন্তরিক ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন রেল উপদেষ্টা। সহজ ডট কমের প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে সহজ ডট কম যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তবে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে যারা টিকিট কালোবাজারি করে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে রেলওয়ের একটি নিজস্ব ইন্টিলিজেন্স টিম থাকা উচিত।”
সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রেলের যাত্রীসেবায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “এবারের ঈদযাত্রায় মানুষ স্বস্তির সঙ্গে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পেরেছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। এ ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে।”
এবারের ঈদযাত্রায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রেল উপদেষ্টা। বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বাড়াতে এবং অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি খরচ অর্থাৎ অপচয় কমাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি আরও আন্তরিক ও তৎপর থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।