সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করে দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, “সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চা এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা তৈরি করে দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।”
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর চত্বরে বিশ্ব বেতার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ আলী আরাফা বলেন, “উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি অন্যান্য বাণিজ্যিক এফ এম রেডিও ও কমিউনিটি রেডিওকে নিরলস কাজ করতে হবে।”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এ সময়ে বেতার বড় একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বেতারকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার ও সস্তা বিনোদনের পাশাপাশি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্ভট সংবাদ প্রচার এবং অসত্য ও গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিকূলতা ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিস্থিতিতেও বেতার একটি নিজস্ব মানদণ্ড অনুসরণ করে বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করছে।”
মোহাম্মদ আলী আরাফা বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের মানুষের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ বেতার অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের যোদ্ধাদের সহযোগী শক্তি হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বাধা সত্ত্বেও সে সময় বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের দুঃসাহসী ভূমিকায় বেতারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার হয়। মুক্তিকামী বাঙালির পাশে থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য জাতি বাংলাদেশ বেতারকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।”
মোহাম্মদ আলী আরাফা আরও বলেন, “বর্তমান সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বাস করে। দেশের গণমাধ্যমসমূহ এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।”
এ বছরের বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শতাব্দী জুড়ে তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষা বিস্তারে বেতার’-এর গুরুত্ব অনুধাবন করে বেতারে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী-কলাকুশলীদের কাজ করে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।