• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রি করলে নিরাপত্তা দেবে র‍্যাব’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
‘ন্যায্যমূল্যে মাংস বিক্রি করলে নিরাপত্তা দেবে র‍্যাব’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

আসন্ন রমজানে রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারের নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেবে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। রাজশাহীর বাঘা এলাকার গরুর মাংস বিক্রেতা মামুন হোসেনকে হত্যাকারী অপর মাংস ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান খোকনকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলন ডাকে র‌্যাব।

খন্দকার আল মঈন বলেন, “প্রত্যেকটি বাজারের আশপাশে আমাদের অফিস আছে, আমাদের টহল দল আছে বা সাদা পোশাকে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করে। তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে আমরা ব্যবসায়ীদের পাশে থাকব।”

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার বলেন, “সরকার নির্ধারিত বা ন্যায্যমূল্যে যারা পণ্য বিক্রি করবেন, তারা যদি কোনো হুমকি পান, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন বা তাদের ব্যবসায় যদি কেউ প্রতিবন্ধকতা করে তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

এদিকে গত ২০ জানুয়ারি সকালে রাজশাহীর বাঘা থানার আড়ানী হাটে ন্যায্যমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করায় মাংস ব্যবসায়ী মামুনকে মাংস কাটার ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করেন অপর এক মাংস ব্যবসায়ী খোকন। পরে স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মামুনের ছোট ভাই বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে খোকন পাশের এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে স্থায়ীভাবে আত্মগোপনের জন্য মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ড্রেজার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। শিবচর থেকে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

র‍্যাবের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন খোকন। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার মঈন বলেন, “খোকন মাংস ব্যবসার পাশাপাশি মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর বাঘা থানায় মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটি মামলা আছে। এসব মামলায় তিনি বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন।”

খন্দকার মঈন আরও বলেন, “হত্যাকারী খোকন ও ভুক্তভোগী মামুন নিকট আত্মীয়। একই জায়গায় তারা দীর্ঘদিন একসঙ্গে মাংস ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। মামুন সরকার নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এতে তার দোকানে মাংস বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং খোকনের দোকানে মাংস বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে খোকন মামুনকে হত্যা করেন।” 

এই ঘটনায় খোকনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

Link copied!