বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এরা পাকিস্তানের দালাল।”
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এরা দালাল, এদের কারণে গণহত্যার স্বীকৃতি আজও পাইনি। আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা পাইনি। পাকিস্তানি নাগরিকেরা বছরের পর বছর বোঝা হয়ে আছে। কথা দিয়েও তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। পাকিস্তান একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে একবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। দেশটির কোনো সরকারও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের জন্য বাংলাদেশের কাছে এখনো ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। যারা পাকিস্তানের দালালি করে, তারা স্বাধীনতার শত্রু।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে, তারা আমাদের শত্রু। এই শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, জেলে চার নেতাকে হত্যা করেছিল। জয় বাংলা, ৭ মার্চ নিষিদ্ধ করেছিল। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতিকে নিষিদ্ধ করেছিল।”
কাদের বলেন, “বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নাই। বিএনপির প্রভু আছে; যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছিলেন।”
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আজকে দুপুরে নয়াপল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছেন, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। হাতে গুনলে কয়জনকে পাবেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কোনোদিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির সঞ্চালনা আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।