বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ঈদের পর আমাদের আন্দোলন তো আরও জোরদার হবে। আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে চাই।”
সোমবার (২৬ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবিধানের মধ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে কীভাবে নির্বাচন করা যায় তার একটি প্রস্তাব দিয়েছেন ড. শাহদীন মালিক– এ নিয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “এটা শাহদীন মালিকের আইনগতভাবে যে চিন্তা, সেখান থেকে তিনি এটা বলেছেন। এটা তো বিএনপির চিন্তা নয়। আমরা আরও সুনির্দিষ্টভাবে ভবিষ্যতে বলব। ইতোমধ্যে আমরা আলোচনা শুরু করেছি, পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে কথা বলেছি সেমিনারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। শাহদীন মালিককে ধন্যবাদ জানাই, তিনি তার মতামত দিয়েছেন। আশা করি, দেশে আরও যেসব সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ আছেন, তারা তাদের মতামত দেবেন। সেখান থেকে একটা চিন্তা বেরিয়ে আসবে। বিশ্বাস করি, প্রতিটি প্রস্তাবে জনগণ যেভাবে চাইবে তার প্রতিফলন থাকবে।”
বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা দেবে কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা সেজন্য আলোচনা করছি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে সেমিনার করেছি। সেভাবে নিশ্চয়ই আলোচনা করে একটি রূপরেখা আসবে বলে আশা করি।”
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম বলেন, “ম্যাডাম এবার হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার পরে একটু ভালো আছেন, বেটার আছেন। উনার যে সমস্যাগুলো আগে ছিল সেগুলো এখন আর নেই। সি ফিল বেটার আরকি।”
তিনি বলেন, “উনার (খালেদা জিয়া) মূল প্রভলেমগুলোর সলভ হওয়ার সম্ভাবনা নাই। কারণ উনার মূল সমস্যা লিভার সিরোসিস আছে, সিরিয়াস আর্থাইটিস আছে, হার্টের প্রভলেম আছ। এগুলোর জন্যে তার বারবার ডাক্তার সাহেবরা বলেছেন, মেডিকেল বোর্ড বলছেন, বাইরের বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা করার প্রয়োজন আছে। সেটা তো হচ্ছে না। সেজন্য যেটা আমরা বলি উনার রিস্ক (ঝুঁকি) থেকেই যাচ্ছে।”