বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “অনেকেই বলেন যে আন্দোলন কি করা হয়েছে শুধু নির্বাচন করার জন্য? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেননি শেখ হাসিনা। ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশকে একটি কারবালায় পরিণত করেছিলেন।“
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা-ভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে পতিত সরকারের মতোই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
এ সময় বিএনপি নেতা ইশরাক ন্যায়বিচার পেয়েছেন দাবি করে রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। সেসময় চোর-ডাকাতরা এমপি হতো আর ভালো মানুষদের জায়গা হতো কারাগারে। বেগম খালেদা জিয়া তার উদাহরণ। যদি দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র থাকত তাহলে ২০১৪ সালেই বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতেন।”
জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে?— এমন দোদুল্যমান বক্তব্য না দিয়ে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জাতিকে আশ্বস্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও জনগণের সমর্থন রয়েছে। সব আন্দোলনকারী দল তাদের সমর্থন দিয়েছে।”
১২২টি গার্মেন্টসের শ্রমিক এখনো বেতন পাননি, ১৫০ গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বোনাস পাননি উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকারের দায়িত্ব শ্রমিকদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা। অবিলম্বে তাদের বেতন-বোনাসের ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
রিজভী বলেন, “জুলাই আন্দোলনে ১৭ জন রিকশাচালক জীবন দিয়েছেন। আমি তাদের বাসায় গিয়েছি। কী নিদারুণ কষ্টে তাদের পরিবারের সদস্যরা জীবনযাপন করছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের পরিবার যেন না খেয়ে থাকে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে। যারা চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত তাদের চাকরি দিতে হবে।”