সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জমায়েত হয়েছেন রাজধানীর শাহবাগে। বিক্ষোভ আর স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠছে শাহবাগ মোড়। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে মোড়া দিয়ে যানবাহনের চলাচল।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করেন। পরে সেই মিছিল নিয়ে এসে তারা জমায়েত হন শাহবাগ মোড়ে। তবে আগে থেকেই শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ অবস্থান করছেন সেখানে।
কোটাব্যবস্থা সংস্কারের একদফা দাবির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারেবিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে আন্দোলনকারীদের মিছিলটি বের হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষণায় বলেন, জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে আইন পাস করে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে ৫ শতাংশ কোটা রেখে বাকি কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
একই সঙ্গে নাহিদ ইসলাম দেশের বিভিন্ন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার (আজ) বিকেল ৪টায় সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচির ডাক দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কোটা সংস্কারের দাবিতে পুলিশের বাধার মধ্যেই রাত নয়টা পর্যন্ত ঢাকার শাহবাগসহ সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। অনেক জেলায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা এবং কুমিল্লায় ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
গত বুধবার (১০ জুলাই) শিক্ষার্থীদের অবরোধে সারাদেশে কার্যত অচল হয়ে পড়ে সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্লকেড চলে। এ সময় সারাদেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঢাকা। সন্ধ্যার পর তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে।
২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের সব কোটা বাতিল করে সরকার। এবার সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা।