• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২, ১০:২৫ এএম
ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কয়েক দিনের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে তিনটি বিতরণ কোম্পানি দাম বাড়ানোর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে। বাকি তিনটি কোম্পানি আগামী সপ্তাহে আবেদন করতে পারে। বিদ্যুতের দাম গড়ে ২০ শতাংশ বাড়াতে চায় বিতরণ কোম্পানিগুলো।

এর আগে জুন মাসে গ্যাসের দাম এবং আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বিইআরসি। পাইকারিতে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বিইআরসি জানিয়েছিল, এখনই খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও বলেছিলেন, পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও গ্রাহক পর্যায়ে এখনই দাম বাড়ছে না। কিন্তু বিতরণ কোম্পানিগুলো তিন দিনের মাথায় খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদন করল। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ (পিডিবি)। তিনটি কোম্পানি বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের বাড়ানোর আবেদন করেছে।

জানা গেছে, ভোক্তা পর্যায়ে গড়ে ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে পিডিবি। আর দাম বাড়ানোর নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ উল্লেখ না করেই আর্থিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বিইআরসির কাছে আবেদন জমা দিয়েছে ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) আগামী সপ্তাহে দাম বাড়ানোর আবেদন জমা দিতে পারে।

বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানান, ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে কমিশনের কাছে তিনটি আবেদন জমা হয়েছে। সব বিতরণ কোম্পানির আবেদন জমা হলে তা যাচাই-বাছাই করে আইন ও বিধি অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৪ বছরে দেশে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৯ বার। একই সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। সর্বশেষ দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। ওই সময় পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। আর খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

Link copied!