প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গেলে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তাকে নিয়ে দলের নির্বাচনী অফিসে এইচ টি ইমামের কক্ষে যান।
কক্ষে প্রবেশের পর ড. সেলিম মাহমুদ ও বিপ্লব বড়ুয়া তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে কবির বিন আনোয়ার ড. সেলিম মাহমুদ ও ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে নিয়ে ওই রুমে বসে বেশ কিছু সময় আলাপ করেন।
এদিকে এইচ টি ইমামের আসনে কবির বিন আনোয়ার বসছেন খবর শোনার পর পর তার নিজ জেলা সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে উচ্ছ্বাস। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কবির বিন আনোয়ারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও জনপ্রতিনিধিরাও নিজ নিজ ফেসবুকে কবির বিন আনোয়ারের ছবি দিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন তারা।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, “আমাদের সাধারণ সম্পাদক তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। আমরাও তাকে স্বাগত জানাই। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম সহযোগী হবেন কবির বিন আনোয়ার।”
কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামস ই এলাহী অনু বলেন, “ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান কবির বিন আনোয়ার। প্রধানমন্ত্রী তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ায় আমরা সিরাজগঞ্জবাসী গর্বিত।”
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ বলেন, “ওনার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন রতু দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি নিজেও ঢাকা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। সিরাজগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।”
এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রশাসনবিষয়ক এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনটি সাধারণ নির্বাচনে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।