• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
বাজেট ২০২৪-২৫

দামের লাগাম টানা হবে ৩০ পণ্যের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম
দামের লাগাম টানা হবে ৩০ পণ্যের
মুদি দোকান। ছবি : সংগৃহীত

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ৩০ প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, যদি প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয় তবে বাজারে এই পণ্যগুলো আগের চেয়ে কমমূল্যে কিনতে পারবেন ভোক্তারা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে সূত্র অনুযায়ী, কর কমানোর তালিকায় থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ৩০ পণ্য।

অন্যদিকে, প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ আমদানিতেও করহার কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুড়া দুধের ওপর করহার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। বর্তমানে গুঁড়া দুধের বাল্ক আমদানিকারকদের জন্য মোট করহার ৩৭ শতাংশ।

এর আগে গত ১৪ মে গণভবনে বাজেটবিষয়ক সভায় বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকেও নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার স্থিতিশীল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান, আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অনুবিভাগের বাজেট বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। ওই সভায় কৃষি উপকরণ ও সার আমদানিতে শুল্ক না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্যদ্রব্য ও খাদ্যবহির্ভূত জিনিসপত্রের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। গত মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগের মাসের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।

অন্যদিকে, খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। এপ্রিল মাসে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকার মানুষ বেশি মূল্যস্ফীতির শিকার হয়েছে।

দেশে মাঝেমধ্যে অস্থির হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। পণ্যের আকস্মিক লাগামহীন মূল্যে ক্রেতারাও দিশাহারা হয়ে পড়ছে। বাজারের এই অস্থিরতা দূর করতে বিভিন্ন সময়ে পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতে বাজারে তেমন কোনো প্রভাবই পড়েনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঈদ ও অন্যান্য বিশেষ পরিস্থিতিতে এনবিআরের কাছে কর কমানোর জন্য চিঠি দেওয়া হলেও কার্যকর উদ্যোগ নিতে অনেক দেরি হয়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের সুরে বলেছে, আমরা চিঠি দেওয়ার কয়েক মাস পর এনবিআর সে বিষয়ে কাজ করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যখন তারা কর কমায়, তখন আর দৃশ্যত কোনো লাভ হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

Link copied!