সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। পাশাপাশি বেড়েছে বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম। অবশ্য ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ফার্মের মুরগির ডিমের দাম সামান্য কমেছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বাভাবিক হয়েছে। অধিকাংশ পণ্যের দাম অনেকটা ‘স্থিতিশীল’ পর্যায়ে এসেছে।
বাজারে কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ১১০-১২০ টাকা ও আলু ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুসারে, গত এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম ৫০ শতাংশ ও পেঁয়াজের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
বন্যা ও খরার কারণে উৎপাদন কমায় কোরবানি ঈদের সময় খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম উঠেছিল ৪০০-৫০০ টাকা কেজি। এরপর জুলাই মাসে দেশজুড়ে সহিংস পরিস্থিতির মধ্যেও মরিচের দাম ৩৫০ টাকা ছাড়ায়; যা চলতি মাসের শুরুতে কমে আসে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছিল ১৮০-২০০ টাকায়। তবে গতকাল সেই দাম আবার বেড়েছে; ২৪০-২৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কয়েক ধরনের মাছ এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। গতকাল প্রতি কেজি রুই ৩২০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা ও পাঙাশ মাছ ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আগের দুই সপ্তাহে এসব মাছে কেজিতে ৩০-৫০ টাকা বাড়তি দাম ছিল। ইলিশ মাছ ও গরুর মাংসের দামও কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা কমে ১৪৫ টাকা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রকার সবজিও আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। বাজারভেদে প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে; আর বরবটি, বেগুন, করলা ও কাঁকরোল বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকায়। এসব সবজির দাম সাত দিন আগে অন্তত ১০-২০ টাকা কম ছিল।
সবজির আড়তদারেরা জানান, সহিংসতা ও ডাকাতির আশঙ্কায় গত সপ্তাহে সবজি পণ্যের সরবরাহ কম ছিল। এতে বিভিন্ন উৎপাদন স্থল বা পাইকারি মোকামে কম দামে সবজি বিক্রি হয়েছিল।