ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় জামার কদর বেড়েছে। শেষ সময়ে ডিসকাউন্ট থাকায় জামা কিনতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে স্টলগুলোতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাহান টেক্সটাইলে তাদের শো-রুম মূল্য এক পিস ৮০০ টাকার জামা বাণিজ্যমেলায় ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই পিস জামা কিনলে অফারসহ এক হাজার ২০০ টাকা রাখা হচ্ছে। এছাড়া তিন পিস কিনলে এক হাজর ৮০০ টাকা রাখা হচ্ছে। শেষ সময়ে স্টলগুলোতে অফার থাকায় দাম সহনীয় বলে মন্তব্য করছেন দর্শনার্থীরা।
তাদের ভাষ্য, ডিসকাউন্ট ছাড়া মেলার শুরুতে প্রতিটা পণ্যের দাম বেশি রাখা হয়েছে। বিক্রি না বাড়ায় ডিসকাউন্ট দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ যেখানে মানুষ মেলায় আসে অফারে পণ্য কেনার জন্য, সেখানে এবার সব পণ্যের দামই বেশি।
গাজীপুর থেকে আসা বিউটি নামের এক ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “শুরুতে একবার মেলায় এসেছিলাম। তখন জামার দাম ছিল সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা। আর এখন অফারে দাম দেখছি ৫০০ টাকা। অর্থাৎ জামায় ১০০ টাকা কমেছে। হয়তোবা বিক্রি কম থাকার কারণে ১০০ টাকা কমানো হয়েছে।”
বিউটি আরও বলেন, “গতবারের চেয়ে এবার সব জিনিসের দাম অনেক বেশি। শুনলাম মেলায় অফার চলছে, কিন্তু যে অফার চলছে তাতেও দাম বেশি। তবে শেষ সময়ে এসে যা দাম হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা তাতে শুরুর থেকে দাম সহনীয় বলা যায়।”
এদিকে শেষ সময়ে এসে পণ্যের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এবার মেলা অনেক দেরিতে শুরু হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী যে লক্ষ ছিল তা অনেকটাই পূরণ হয়নি বলা যায়। তবুও শেষ সময়ে এসে দর্শনার্থীদের পাশাপাশি ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় বিক্রি বেড়েছে।”
রফিক নামের এক বিক্রয়কর্মী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, শেষ সময়ে এসে বিক্রি বেড়েছে। শুরুতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়লেও সেই তুলনায় বিক্রি ছিল না। তবে আগারগাঁওয়ের মতো পূর্বাচলে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মেলা জমলেও বিক্রি সেই রকম নেই।”
ওই বিক্রয়কর্মী আরও বলেন, “ডলার সংকট, এলসি বন্ধ, বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি চাহিদা পূরণ করায় পণ্যের খরচ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দামও। তবুও আমরা সীমিত লাভে পণ্য ছাড়ার পরও ক্রেতাদের কাছে দাম বেশি বলে মনে হচ্ছে। অথচ তাদের দাম বাড়ার কারণ বললেও তারা সিন্ডিকেট বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। মেলায় বিক্রি বাড়লেও লাভের পরিমাণ বাড়ছে না।”