ভোক্তা অধিকারের অভিযানের পর বাজারে আকার অনুযায়ী ডাবের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। যদিও বিক্রেতাদের দাবি, বাজারের এই চিত্র অনেকটা স্বস্তির। কিন্তু ক্রেতারা ডাব কিনতে চায় আরও কম দামে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সর্বনিম্ন ছোট ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ ও বড় ডাব বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
এর আগে ৫ আগস্ট সংবাদ প্রকাশে “ডেঙ্গুতে ডাবের ডিগবাজি, এক পিস ১৮০ টাকা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এসময় বাজারে সর্বনিম্ন ছোট ডাব বিক্রি হয় ১২০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত এবং বড় মাপের ডাব বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। একইসময় ক্রেতারা অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, “ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধিতে বাজারে ডাবের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।”
ডাব নিয়ে কথা হয় রাশেদ ইকবাল নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের দাম এখন স্বস্তির নয় উল্লেখ করে এই ক্রেতা বলেন, “আমার বাড়ি লক্ষ্মীপুর। বর্তমানে ঢাকায় থাকি। লক্ষ্মীপুর থেকে অনেক ডাব ঢাকায় আসে। সেখানে ডাবের দাম ২৫ থেকে ২৬ টাকা। ২৫ টাকা যদি ক্রয়মূল্য ধরে খরচ যুক্ত করা হয়। আমার মনে হয়, ডাব ৫০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু বাজারে ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ - ১০০ টাকা। কাজেই বাজারে এখনও ডাবের দাম অনেক বেশি। খুচরা বিক্রেতা যা কিনবে, তার সঙ্গে কিছু লাভ যুক্ত করে বিক্রি করবে। তাদের দোষ দেখি না। দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দিকে নজর বাড়াতে হবে।”
আলামিন নামে এক ডাব ক্রেতা বলেন, “এখনও কিন্তু ডাবের চাহিদা আছে। কারণ ডেঙ্গুতো আছেই। বর্তমানে বাজারে ছোট ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। আর বড় ডাব ১২০ টাকা। বাজারে এখনও ডাবের দাম বেশি। এই দামে সকলে ডাব কিনে খেতে পারবে না। দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে থাকলে সকলে কিনে খেতে পারবে।”
কথা হয় ফরদিুল ইসলাম নামে এক খুচরা ডাব বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, “কিছুদিনের মধ্যে ডাবের দাম আরও কমবে। কয়েকদিন আগে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছিল। এখন সরবরাহ ভালো। ডাব কিনলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা রশিদ দিচ্ছে। তবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। ৮০ টাকায় বিক্রি করছি ডাব, তারপরও খেতে চায় না। বিক্রি তেমন ভালো না।”
কারওয়ান বাজারের খুচরা ডাব বিক্রেতা নূরনবী বলেন, “গত কয়েকদিনের তুলনায় দাম এখন কমছে। আমি ২০ থেকে ২২ বছর ধরে ডাবের ব্যবসা করি। এবারে ডাবের ব্যবসা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এমন ব্যবসা আগে দেখিনি। এবারে ডাবের চাহিদা ছিল আর দামটাও অনেক চড়া। এখন বাজারে দাম কমলেও ক্রেতা নেই।”