মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘সেকেন্ড হোম’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিষয়টিকে ‘সংবেদনশীল’ উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, “এটা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়; সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো চাইলে সহযোগিতা করা হবে।”
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ নিয়ে যে আলোচনা চলছে, এটা সাংবিধানিকভাবে সম্ভব কি না, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত কি না এবং ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, “এরসঙ্গে রিলেটেড (যুক্ত) কোনো কাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের না। স্পেকুলেশনের (অনুমান) ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারবে না। এটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। খুবই সেনসেটিভ (সংবেদনশীল)। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটা দেখুক।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি যুক্ত হয়ও, শেষ পর্যায়ে গিয়ে হবে। তখনই সেটা দেখা যাবে। এটা নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। এটার মধ্যে আইনগত দিক আছে, রাষ্ট্রপতির নিজের ব্যাপার আছে। এটা নিয়ে নাড়াচাড়া করা আমার কাজ না।”
রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার নাগরিক কি না এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে জানতে চাইবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে জানতে চাইব না।”
এর আগে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) জুলকারনাইন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে এ বিতর্কের সূচনা করেন।