রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে নিউজিল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত নিউজিল্যান্ডের হাইকমিশনার ডেভিড পাইন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দেশসমূহের মধ্যে নিউজিল্যান্ড অন্যতম। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশের জন্য রোহিঙ্গা একটি বড় সমস্যা। দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে, তাদের নিয়ে সরকার ও জনগণের ওপর চাপ তত বাড়ছে।”
রোহিঙ্গাদের সম্মানজনকভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “নিউজিল্যান্ড উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম পছন্দের গন্তব্য। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ পাবে।”
সাক্ষাৎকালে নিউজিল্যান্ডের বিদায়ী হাইকমিশনার দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ভবিষ্যতে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশিদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ার কথাও বলেন তিনি।
এ সময় সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ডেভিড পাইনকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।