বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে ২৭তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। রোববার (১ জানুয়ারি) মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের প্রথম দিনেও চলছে প্যাভিলিয়নগুলোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এখনো চলছে স্টল তৈরির কাজ।
রোববার উদ্বোধনের পর সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ব্লক এ ও বি ব্লকের অনেক স্টলের কাজ চলছে। প্রথম দিন হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের আনাগোনাও অনেক কম।
ডিসেম্বর ২৮ তারিখে বরাদ্দ পাওয়া নারীদের প্রসাধনীর দোকান ড্রেসলাইনের বিক্রয় প্রতিনিধি আরমান হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “মেলা ঢাকার বাইরে হওয়ায় অনেক শ্রমিক কাজ করতে আগ্রহী হয় না। ফলে শ্রমিক স্বল্পতায় আমাদের দোকান শুরু করতে সময় লাগছে। আশা করি আগামীকাল থেকে দোকানের বেচাকেনা শুরু হবে।”
একই তারিখে বরাদ্দ পাওয়া সুলতান গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী রাজীব হোসেন বলেন, “আমাদের দোকানের ডেকারেশন প্রায় শেষ পর্যায়ে। পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে কাজ শুরু করতে সমস্যা হয়। আশা করি আজকালের কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
ভারতের জম্মু কাশ্মীর থেকে হরেক রকমের শাল আর শীতের বিভিন্ন পোশাক নিয়ে এসেছেন ওয়েস আহমেদ। বি ব্লকের ১৬১ নাম্বার স্টলে তাদের দোকান। ওয়েস সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাংলাদেশিরা আমাদের শাল খুব পছন্দ করে। প্রতি মেলার প্রথম দিন থেকে আমাদের বিক্রি খুব ভাল হয়। যেহেতু আজই উদ্বোধন হয়েছে, আশা করছি ভাল বিক্রি হবে এবার।”
রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে পরিবার নিয়ে মেলা দেখতে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকার ভেতর মেলা হলে একধরনের ভিড় ও ঝামেলা দেখা যেত। কিন্তু এত আধুনিক সেন্টারে মেলা শুরু হওয়ায় বড় পরিসরে সব গোছানো। আগারগাঁও থেকে এখানে বেশ ভালোই লাগছে মেলার পরিবেশ।
ঢাকার বাইরে মেলা হওয়ায় এবারও যাতায়াতের সুবিধার জন্য শার্টেল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন বাসগুলো চলাচল করবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। এবারের মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় ১ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭ প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে।