জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে শান্তি কামনায় মোনাজাতে শামিল হন হাজারো মানুষ। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পশু কোরবানি দিচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়। তবে আষাঢ়ের মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত ঈদে নামাজ আদায় এবং পশু কোরবানি দুটোর ক্ষেত্রেই বিড়ম্বনা তৈরি করেছে বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত শুরু হয়। শেষ হয় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মো. রুহুল আমীন। বিকল্প ইমাম হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুর, ঢাকার মাওলানা সৈয়দ মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রার্থনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক।
মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। এছাড়াও মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃতদের আত্মার মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত, বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের জান্নাত কামনা এবং বিশ্ব মুসলিমের শান্তি ও উন্নতি কামনা করা হয়।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাতে অংশ নেন।
সাধারণত রাষ্ট্রপতিও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ পড়েন। তবে এবার তিনি হজ করতে সপরিবারে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
ঈদ জামাত শুরুর সময়ও হালকা বৃষ্টি ছিল। তার মধ্যেই দলে দলে মানুষ আসেন নামাজ পড়তে। তবে অন্য বারের তুলনায় উপস্থিত এবার ছিল বেশ কম।
জাতীয় ঈদগাহর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র তাপস বলেন, “মানুষ কম এসেছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে। তুমুল বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। এরমধ্যেও যারা আসতে পেরেছেন, তাদের নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা হয়নি।”
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত হচ্ছে। প্রথমটি হয় সকাল ৭টায়।