ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগী দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকারও বেশি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৪০ টাকা। এছাড়াও বাজারটিতে এ দিন সোনালী মুরগির ও দেশি মুরগি যথাক্রমে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩৫০ ও ৬৪০ টাকা।
অপরদিকে নগরীর মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২৫০ টাকা প্রতি কেজি। আর সোনালী মুরগি ও দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ ও ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা।
চড়া দামের জন্য সরবরাহ কমের সেই পুরানো অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে তা মানতে নারাজ ভোক্তারা। তাদের দাবি সরকারি সংস্থার তদারকির অভাবের সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই কমবে মুরগির দাম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির ক্রেতা তেমন একটা নেই। দুই-একজনকে ক্রেতাকে দেখা গেছে দর কষাকষি করতে। অনেকেই প্রয়োজনে বাধ্য হয়েই মুরগি কিনতে দেখা গেছে কারওয়ান বাজারে।
কারওয়ান বাজারে মুরগি কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, “আজকে সোনালী মুরগি কিনেছি ৩৫০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন এই মুরগির দাম ২৫-৩০ টাকা বাড়ছে। ঈদের সময় দাম বাড়ানোটা স্বাভাবিক মনে হয় না আমার কাছে। আত্মীয়স্বজনরা বাড়িতে আসেন। কিন্তু মুসলিম দেশ হিসাবে রোজা বা ঈদের অজুহাতে দাম বাড়ানোটা সমর্থন করার মতো নয়। বাজার মনিটরিং পর্যাপ্ত না থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে। কারণ এই দেশে উৎসব পার্বণ, ডলারের অজুহাত দিয়ে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ে।”
মুরগি ক্রেতা প্রফুল্ল রায় বলেন, “ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার অভাবে বাজারের এই পরিস্থিতি। সবার সুযোগ বুঝে দাম বাড়ায়। সেটা ঈদ হোক আর পূজা হোক। আর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না মনিটরিংয়ের অভাবে। দাম নির্ধারণ করে দিল পরে আর খবর থাকেন না। যে কারণে ব্যবসায়ীরাও সুযোগ বুঝে দাম বাড়ায় দেয়।”
কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা ফয়াজ বলেন, “খাদ্যের দাম বেশি, ঈদের কারণে মুরগি কম আসতেছে তাই দাম বেশি। ক্রেতা এখন কম আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না। এক সপ্তাহ আগে যেকোনো (প্রকারভেদে) মুরগির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কম ছিল। ঈদের পরে দাম কমে যাবে।”
টাউন হল মার্কেটের মুরগি বিক্রেতা আনোয়ারুল বলেন, “মুরগি দাম সপ্তাহের মধ্যে বাড়ে গেছে। ক্রেতা নাই তবু কেন বাড়ছে জানি না। এখন ছুটি ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, দাম বাড়ার কারণে আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়বো। কারণ বেশি দামে মুরগি কেনা। এখনই কাস্টমার নাই, ঢাকা ছাড়ছে মানুষ দুদিন পরে আরও থাকবে না। ঈদের পর মুরগির দাম কমবে। তখন বেশি দামের মুরগি কিনে কম দামে বিক্রি করতে হবে। আমরা অল্প লাভে বিক্রি করি। কিন্তু লোকসান আমাদেরই বেশি হয়।”