যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ডাকযোগে রঙিন মোড়কের প্যাকেটে কিছু পার্সেল আসে ঢাকায়। সেই পার্সেলে কৃত্রিম উপায়ে গাঁজার নির্যাস থেকে তৈরি কেক ও চকলেটের চালান ছিল। শিশুদের খেলনা মধ্যে আনা হয়েছিল এসব মাদক। তবে পার্সেলের ঠিকানা ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় ডাক কর্মকর্তাদের সন্দেহ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেরের পরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
গ্রেপ্তাররা হলেন রাসেল মিয়া, রমজান মিয়া, এবং মো. ইমরান ওরফে রাজ।
এর আগে, রোববার (২১ এপ্রিল) মাদক উদ্ধারের পর এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য হতে আসা একটি পার্সেল জব্দ করা হয়। এসময় গাঁজার নির্যাস থেকে তৈরি ছয় প্যাকেট টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিল যুক্ত কুশ, আমেরিকান গাঁজার তৈরি নয়টি চকলেট ও ১০টি কেক উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য কোটি টাকা।”
তিনি আরও বলেন, “এসব গাঁজা সিনথেটিকভাবে তৈরি করা হয়। যা বাংলাদেশে উৎপাদিত গাঁজা থেকে শতগুণ ভয়াবহ।”
তিনি বলেন, “পার্সেলের গায়ে কোনো ঠিকানা লেখা ছিল না। কেবল একট মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। সেই সূত্র ধরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা বেশ কিছুদিন ধরে এ ব্যবসা করছিলেন। তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যাবে।”