রাজধানীর কেরানীগঞ্জে স্বর্ণের বার ডাকাতির মামলায় এক পুলিশ সদস্যসহ ৮ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি লুণ্ঠিত মালামাল, নগদ অর্থ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. কামরুজ্জামান (৪২), মো. শফিকুল ইসলাম (৩৮), মো. রহমান (৩২), উত্তম মজুমদার (৩৫), মো. জাকির হোসেন (৩৮), মো. শরীফ হোসেন (৩৬), আনন্দ পাল (২৭) ও নাহিদা নাহার (৩২)।
এর মধ্যে মো. কামরুজ্জামান লালবাগ থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। অন্যদের বাড়ি আশুলিয়া, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানাসহ কুষ্টিয়া ও খুলনা জেলায়।
সংবাদ সম্মেলন পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, ২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের গোবিন্দ বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের মালিক হাবু মিয়ার ম্যানেজার বরুণ ঘোষ ৯৮ ভরি স্বর্ণের ৮টি বার নিয়ে জনি টাওয়ার হয়ে রাজধানীর তাঁতি বাজারে একটি স্বর্ণের দোকানে গিয়েছিলেন। তাদের দোকানটি বন্ধ থাকায় তিনি আবার কেরানীগঞ্জের জনি টাওয়ার এলাকায় যান। এ সময় ওত পেতে থাকা লালবাগ থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মো. কাসরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল ডাকাত বরুণ ঘোষকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাকে ব্যাপক মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ডাকাতরা বরুণ ঘোষের কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণের বার ও নগদ ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় হাত-পা বেঁধে ফেলে পালিয়ে যান। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ডাকাতদের ঢাকা এর আশেপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।