• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩০, ১২ শা'বান ১৪৪৬

শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-সাউন্ড গ্রেনেড


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-সাউন্ড গ্রেনেড
ঘটনাস্থল। ছবি : সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ছয় হাজার ৫৩১ জনের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়েছে। এসময় আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জনের অনতিবিলম্বে যোগদান নিশ্চিত করা। এনটিআরসিএ-র নিবন্ধিত (১-১২তম ) নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষকদের নিয়োগ নিশ্চিত করা।

নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগ চক্রে (প্রথম-পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে) আবেদনকৃতদের বৈষম্যের শিকার ও সিস্টেম দুর্নীতিজনিত কারণে তারা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ থেকে ১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ যোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডেটাবেস পৃথক করে এন্ট্রি লেভেল বয়স বিবেচনা করে এবং বিগত ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে এপিএস সাব্বির আহমেদের প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়ন চান তারা।

এ ছাড়া আমলাতান্ত্রিক সব জটিলতা নিরসন করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এদিকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। সুপারিশপ্রাপ্ত হননি, এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬ হাজার ৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছে। সবাই একপ্রকার মানসিক বিপর্যয় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর কত ধৈর্য ধরতে হবে? এভাবে আর কত দিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে? এখন তাদের থাকার কথা নিজ নিজ কর্মস্থলে। অথচ তারা এখন রাস্তায়। তাদের জীবনের দায়ভার কে নেবে? তারা কার কাছে যথাযথ বিচার চাইবেন? এই মুহূর্তে তাদের দাবি, তারা অনতিবিলম্বে কাজে যোগদান করতে চান।

Link copied!