নয়াপল্টনের পশ্চিম প্রান্তে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রাজধানীর ফকিরাপুল সংলগ্ন পুলিশ লাইনস হাসপাতালেও চড়াও হয় বিএনপি কর্মীরা। তারা হাসপাতালে ঢুকে কাচের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের সামনে থাকা ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি মাইক্রোবাস ও ১৬টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা তিনটার দিকে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িগুলোতে আগুন দেয় তারা। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশের একটি দল।
পুলিশ লাইনস হাসপাতাল থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুরে দলটির মহাসমাবেশ ছিল। এ উপলক্ষে সেখানে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী সমবেত হয়। তবে দুপুরে সেখানে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির সমাবেশ। এর পরপরই রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পুলিশ হাসপাতালের কর্মী আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। তারা হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের কাচের প্রবেশ দরজা ভাঙচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে হাসপাতালের ১০-১২ জন কর্মী আহত হয়। পরে পুলিশের একটি ফোর্স এসে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালাতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক বলেন, ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের দুটি ও খিলগাঁওয়ের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন নেভাতে যাওয়ার পথে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েন। এ সময় সড়কে বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর চলছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেন। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ সময় রোগীদের সেবা কাজের বিঘ্ন ঘটে। পরে বিকেলের দিকে পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে।