কথায় আছে পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ স্লোগান। এমনটি আবার প্রমাণ হলো। শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুনের সময় নিজের জীবন বাজি রেখে পুলিশের অনেক সদস্য ব্যাবসায়ীদের পুড়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন।
সকালে ভেজা শরীরে চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও দৃঢ়তা স্পষ্ট। কাঁধে কাপড়ের বস্তা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। তিনি কনস্টেবল গোপাল। তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন আরেক পুলিশ সদস্য হাসিব। তার কাঁধেও কাপড়ের বস্তা। দুজনে মিলে বস্তাটি বহন করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।
এভাবেই পুলিশ সদস্যরা নিউ সুপার মার্কেট থেকে মালামাল বের করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করেন। এমন বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি গ্রুপে পুলিশ সদস্যের ভেজা শরীর নিয়ে কাজ করার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ হয়। সেখানে রাহাত নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “সাধারণ মানুষের পাশে সবসময় পুলিশ থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। ‘স্যালুট’ বাংলাদেশ পুলিশ।”
লিয়াকত নামে আরেকজন মন্তব্য করেন, “মানুষের বিপদে এভাবেই সবসময় এগিয়ে এসেছে পুলিশ, ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশকে।”
মো. ফয়েদ নামে আরেকজন মন্তব্য করেন, “দু-একজন পুলিশের অপকর্মের কারণে আমরা ফেসবুকে পুরো বাংলাদেশের পুলিশকে নিয়ে অযাচিত ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করি, যা একেবারেই অনুচিত। দিন শেষে সাধারণ মানুষের পাশে ঘুরে-ফিরে পুলিশকেই দেখা যায়। সব পুলিশ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।”
এ বিষয়ে রমনা জোনের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, “বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের দায়িত্ব। আমরা এভাবেই সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই। তাদের বিপদে, আনন্দ-উৎসবে অংশীদার হতে চাই। আমরা এখানে এসেছিলাম মূলত উৎসুক জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে। পরে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যাই। আমাদের সদস্যরা ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। ইতোমধ্যে সবার সম্মিলত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।”