আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, “ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিন হামলার পর হাসপাতাল থেকে আসার পর থেকে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু এখন বাসায় পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। তাই আপাতত শঙ্কামুক্ত আছি।”
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকালে হামলাকারীদের শনাক্তে ডিবি পুলিশ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার কারণ তুলে ধরে হিরো আলম বলেন, “ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলাম। সেখানে ভোটের শেষ মুহূর্তে আমার ওপর হামলা হয়। সেখানে হামলায় কারা কারা ছিল তাদের শনাক্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল। আমি ডিবির প্রতি কৃতজ্ঞ তারা দ্রুত হামলাকারীদের ধরেছে, যা ভাবতেও পারিনি। আমি ভেবেছিলাম হামলাকারীরা ক্ষমতাশালী দলের লোক, তাদের হয়তো ধরবে না। এই নির্বাচনে হামলায় আমি মারাও যেতে পারতাম। নির্বাচন নির্বাচন করে অনেক মায়ের কোল খালি হয়েছে। এ সময় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”
নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনবার মার খাওয়ার কথা জানিয়ে হিরো আলম বলেন, “আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনবার নির্বাচন করে মার খেয়েছি। প্রথমে ২০১৮ সালে, এরপর বগুড়ায়, সেখানে জিতলেও ফল দেয়নি। আবার ঢাকায় উপনির্বাচন করতে এসে মার খেলাম। আমি চেষ্টা করেছি, সুষ্ঠু ভোট হোক, ভোটাররা ভোট দিতে আসুক। কিন্তু মার খেলাম।”
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর নির্বাচনে যাব না জানিয়ে হিরো আলম বলেন, “আমাকে পছন্দ না হলে আমাকে ভোট দিয়েন না, এড়িয়ে যান। কিন্তু আমাকে মারার অধিকার কাউকে দেওয়া হয় নাই। হামলাকারীরা আমাকে পাষণ্ডের মতো মেরেছে, তাদের বিবেকে বাঁধেনি। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তারা আমাকে মেরেছে। একমাত্র আল্লাহর জন্য আমি বেঁচে আছি।”