চলে গেলেন কবি আসাদ চৌধুরী। কানাডার টরন্টোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
কবির মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ফেসবুকে পোস্ট দেন কবির জামাতা নাদিম ইকবাল। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “মৃত্যু হায়নাদের মতো তাঁর পিছু লেগেছিল অনেক দিন ধরেই। তিনি ছিলেন সিংহরাজ। তিনি একটি মহান জীবন যাপন করেছেন! তার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করবেন!”
কবি আসাদ চৌধুরী কয়েক বছর ধরে কানাডায় ছেলে-মেয়ের সঙ্গে বাস করছিলেন। তিনি ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন।
আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কবি আসাদ চৌধুরী ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৬৩ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন তিনি। পরে ঢাকায় স্থিত হওয়ার পর তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি ভয়েজ অব জার্মানির বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে দীর্ঘকাল চাকরির পর তিনি এর পরিচালক হিসেবে অবসর নেন।
আসাদ চৌধুরীর প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ২০১৩ সালে পান একুশে পদক।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।